বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার যথারীতি নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে, কারণ মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসলিডেট করেছে। যদিও এই মুভমেন্টটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে ঘটেছে, যা সিগন্যালটিকে তুলনামূলকভাবে দুর্বল করেছে, এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের আসন্ন দরপতনের সতর্ক সংকেত দিয়েছে। এই পেয়ারের গতকালের দরপতন আশ্চর্যজনক নয়। আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে পাউন্ড এখনও অতিমূল্যায়িত এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে, যখন বৈশ্বিক এবং স্থানীয় প্রবণতা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফলস্বরূপ, কারেকশন শেষ হওয়ার পর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যহ্রাস অবশ্যম্ভাবী ছিল। গতকাল পাউন্ডের জন্য তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়নি, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। আজ, যুক্তরাজ্যে কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে, আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে, যদিও তেমন কোনো চমকের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না এবং এই বৈঠকগুলোর প্রভাবে সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বৃহস্পতিবার, 5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, বিশেষত ইসিবি বৈঠক এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্যের সময়। প্রত্যাশিতভাবেই, মূল্য ঘন ঘন বিপরীতমুখী হওয়ার কারণে এই সিগন্যালগুলো কিছুটা অস্পষ্ট ছিল। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সিগন্যাল ছিল 1.2680–1.2685 এরিয়া থেকে বাউন্স এবং মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করে নিচের দিকে চলে গিয়েছিল, যা একটি সেল সিগন্যাল হিসাবে কাজ করেছিল।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করছি, কারণ আমরা এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল হিসাবে বিবেচনা করছি। অতএব, মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি যাই হোক না কেন, ব্রিটিশ মুদ্রার আরও দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করতে পারেন, কারণ মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন এবং 1.2680 লেভেলের নিচে কনসলিডেট করেছে।
5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে: 1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993। শুক্রবার, যুক্তরাজ্যে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তবে আমরা সেগুলোকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসাবে বিবেচনা করছি। আজ মার্কিন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই। এই পেয়ারের মূল্য যদি 1.2680 লেভেলের নিচে থাকে, তবে আরও নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।